ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লবণের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ 

দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ 
লবণের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ 

কক্সবাজারে প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবিতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লবণ ঢেলে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছে বিক্ষুব্ধ লবণচাষীরা।

বুধবার চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী এলাকায় সড়কে এই বিক্ষোভ করে তারা। এসময় সড়কে দুই ঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

লবণ চাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একমাত্র দেশীয় লবণ উৎপাদন কেন্দ্র। তৎমধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় কক্সবাজার জেলায় টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, ঈদাগাঁও, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলায় এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। গত মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় দেশীয় উৎপাদিত লবণ দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

এমনকি অর্থবছরে উৎপাদিত লবণ চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে আরও ২ লক্ষ ২২ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া ভালোভাবেই চলছে। প্রায় ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়, যা ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় লবণ শিল্পের সাথে ৬৫ হাজার চাষীসহ ১০ লাখ মানুষ লবন শিল্পের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।

চাষিরা জানিয়েছে, কিন্তু এবছর মাঠ পর্যায়ে লবনের উদপাদন ভালো থাকা সত্বেও লবনের ন্যায্যামূল্য পাচ্ছে না। মাঠ পর্যায়ে বর্তমানে লবণ মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা। অথচ এক মন লবনের উৎপাদন খরচ ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত।

লবন মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে দেশীয় লবণ শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবণের নাম দিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে লবণ আমদানির এলসি অনুমোদন করার পায়তারা করছে বলেও দাবী করেন তারা।

বিক্ষোভ,মহাসড়ক,লবণ,ন্যায্য মূল্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত